ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি মোটেও ভাল নয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৪
‘পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি মোটেও ভাল নয়’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি মোটেও ভাল নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি মো.আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,‘সাভার ট্রাজেডির পর পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এ শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। ‘

নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়ামে তিনদিন ব্যাপী চিটাগাং অ্যাপারেল, ফেব্রিক্স এন্ড এক্সেসরিজ এক্সপজিশন(কাফেক্সপো) ২০১৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন আতিকুল ইসলাম।


ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

সভাপতির বক্তব্যে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে আতিকুল ইসলাম বলেন, আপাত দৃষ্টিতে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রতিককালে রপ্তানির প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর।

তিনি জানান, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার ২২ শতাংশ হলেও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এ হার মাত্র ৭ শতাংশ। একইভাবে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১১ দশমিক ৫ শতাংশ আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন,‘এ তথ্যে প্রতীয়মান হয় যে, আমরা ভালো নেই, ব্যবসা ভালো চলছে না। ’

আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দরপতন অব্যাহত থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কারনে শিল্পে উৎপাদন খরচ ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য কমেছে প্রায় ৮শতাংশ।

এছাড়া বিগত ১৪ মাসে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ হারে ভারতীয় মূদ্রার অবমূল্যায়ন হওয়ায় পোশাক রপ্তানিতে ভারতের প্রতিযোগী সক্ষমতা বেড়েছে এবং ভারত সরকার আগামী দুই বছরে ১৭ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির কৌশল ও নানামুখী সহায়তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি।  

সরকারি চাপে পড়ে ন্যুনতম মজুরি বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়েছেন উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সাড়ে ৪ হাজার টাকা দিতে পারবো বলেছিলাম। কিন্তু সকরারি চাপে ৫ হাজার ৩০০টাকা দিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিগত ৪ বছরে নুন্যতম মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২১৯ শতাশং। অথচ ৭০ শতাংশ ক্রেতাও মজুরি বৃদ্ধির জন্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করেননি। ফলে পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি।

এদিকে তাজরিন ফ্যাশন্স‘র অগ্নিদূর্ঘটনা এবং সাভারের রানা প্লাজা দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের নিরাপদ কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করতে অধিকাংশ পোশাক কারখানাকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করতে হচ্ছে।  

তিনি বলেন, এসব পরিস্থিতি প্রমাণ করে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা কঠিন অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছেন; তাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা দিনে দিনে কমছে এবং তারা বাজার ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন।

এ অবস্থায় আগামীতে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন পোশাক শিল্প খাতের এ নেতা।

বাংলাদেশ সময়:২০৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৪

** দশমিক ২৫ শতাংশ সহায়তা পাচ্ছে গার্মেন্টস মালিকরা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad