ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দু’বন্ধুকে খুন

আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দু’আসামী ও দু’সাক্ষী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৪
আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দু’আসামী ও দু’সাক্ষী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীতে দু’বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় দু’আসামী এবং দু’সাক্ষীসহ চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে দু’আসামী হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।

দু’জন সাক্ষী প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নূরে আলম ভূঁইয়ার আদালতে চারজন জবানবন্দি দেন।


জবানবন্দি প্রদানকারী আসামীরা হল, শাহআলম ও শাহেদ। সাক্ষীরা হলেন,  জান্নাতুল ফেরদৌস ও জান্নাত।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, আসামী হিসেবে দু’জন এবং সাক্ষী হিসেবে দু’জন জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেয়ার পর আদালত আসামীদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে সাক্ষী জান্নাতুল ফেরদৌস ও জান্নাত নিজেদের আসামী শাহআলমের বান্ধবী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তারা জানান, খুনের ঘটনার আগে শাহআলম তাদের ডেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। গভীর রাতে কামরুল ও ফোরকারনকে ওই জায়গায় নিয়ে আসে অন্যরা। প্রথমে তারা মাদক গ্রহণ করে। এরপর শ্বাসরোধ করে এবং রগ কেটে তাদের খুন করে।

ঘটনার পর আরও বেশ কিছুক্ষণ হত্যাকারীরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করে। শাহআলম দু’বান্ধবীর সঙ্গে আরও কিছুক্ষণ সময় সেখানে কাটায় বলে তারা জবানবন্দিতে জানায়।

ঘটনাস্থলে খুনীদের মধ্যে ৬ জনের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস ও জান্নাত তাদের জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে এজাহারভুক্ত আসামী শাহআলম ও শাহেদ জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে আরও ৯ জনের নাম উল্লেখ করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইকছড়ি বাজার থেকে এজাহারভুক্ত আসামী শাহআলম, শাহেদ এবং বাঁছাকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এদের মধ্যে বাঁছাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ।

গত সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে নগরীর খুলশী থানার ষোলশহর দু’নম্বর গেইট এলাকায় একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে দু’বন্ধু কামরুল ও ফোরকানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা উভয়ই নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।

কামরুল ইসলাম এমইএস কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আর ফোরকান সিইপিজেডে একটি কারখানায় কর্মরত ছিল।

এ ঘটনায় কামরুল ইসলামের বাবা আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামী করে দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় খুলশী থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন।

আসামীরা হল, বাঁছা প্রকাশ সুন্দরলাল বাঁছা প্রকাশ ব্লেট বাঁছা, সাহেদ, শাহআলম, জীবন প্রকাশ কাশেম, জাহাঙ্গীর, লেদু, ভুট্টু, আকাশ এবং বাহার।

এছাড়া লাশ উদ্ধারের সময় নগরীর ষোলশহর এলাকায় ছাত্রলীগের ভাংচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা এক’শ থেকে দেড়’শ জনকে আসামী করে দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৫২, ১৬৮, ৩৪১, ৩৫৩, ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন খুলশী থানার এস আই মো.রাসেল মিয়া।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।