চট্টগ্রাম: নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের নৌ পথে সংযোজিত ফেরি ছিল আমদানি নির্ভর। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিয়ে দেশেই ফেরি নির্মাণ শুরু করে।
শুক্রবার বিকেলে বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদন্ডি এফএমসি ডক ইয়ার্ডে বিআইডব্লিউটিসির জন্য নির্মিতব্য কে-টাইপ ফেরির নির্মাণ কাজ শুরুর(কিল লেয়িং) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নৌ পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এক সময় ঈদে ঘরমুখো মানুষকে বাড়ি যাওয়ার সময় ফেরিতেই নামাজ আদায় করতে হতো। এখন সেই অবস্থা নেই। যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। দেশে নৌ পথ সম্প্রসারিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, নতুন সংযোজিত এসব ফেরির পথ চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে।
শিপ বিল্ডিং শিল্পের সম্প্রসারণে সরকারের আন্তরিকতা তুলে ধরে শাজাহান খান বলেন, বন্দর, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, বিএফডিসি, বিডব্লিউডিবিসহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের জাহাজ, টাগ, পন্টুন, জেটি, ফেরি নির্মাণের কাজে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে দেশীয় শিপ নির্মাতাদের। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞদের দক্ষতায় বাংলাদেশ শিপ ইমপোর্টার থেকে এক্সপোর্টারের দেশে পরিণত হয়েছে। এটা দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে নতুন সংযোজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নৌ পরিবহন সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস ও এফএমসি ডক ইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াছিন চৌধুরী।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান পরে এফএমসি ডক ইয়ার্ডের জাহাজ নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য বিআইডব্লিউটিসির জন্য নির্মিতব্য ফেরিটি আগামী জুলাই মাসে ডেলিভারি দেবে এফএমসি ডক ইয়ার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারী ২১, ২০১৪