ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অস্ত্রের রাজনীতির দিন এখন আর নেই

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৪
অস্ত্রের রাজনীতির দিন এখন আর নেই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী প্রশ্রয় দেননি। অস্ত্রের রাজনীতির দিন এখন আর নেই।

ছাত্রলীগ যা করছে তা অবশ্যই সরকারকে বিব্রত করে। কেউই আইনের উর্দ্ধে নয়।


বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কি নিজস্ব কর্মকাণ্ডের কারণে আওয়ামী লীগের জন্য বোঝা হয়ে দাড়াতে পারে? বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের শুরুতে এরকম প্রশ্নে ভূমি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, এ ঘটনা বিচ্ছিন্ন না। এখানে সরকারের আন্তরিকতার অভাব আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকবছরে শিবিরের বাইরে বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনা ছাত্রলীগেরই।

প্রধানমন্ত্রী এমন ঘটনাকে আত্মরক্ষার অধিকার বলেন তার মানে কি এই যে, এসব সন্ত্রাসীদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিহত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আরো কঠোর হতে হবে।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিআরবি ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে অতিথিরা এসব কথা বলেন।

সংলাপের উনষাটতম পর্বের অনুষ্ঠানে প্যানেল সদস্য হিসেবে  ছিলেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম.পি, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বেসরকারি সংগঠন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশনের  প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক সাদাফ নূর-ইসলাম।

সাদাফ নূর-ইসলাম বলেন, ছাত্রদের দাবীর জায়গায় ছাত্রলীগের হামলা সরকার নিরপেক্ষভাবে ট্যাকল করতে না পারলে সরকারকে ব্যর্থই বলতে হবে। এর বিচারের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার অভাব আছে বলতে হবে।

সরকার বিএনপির সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ না নিলে আপাত বিরাজমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি কি স্থায়ী হবে? এরকম প্রশ্নে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দল পার্ট অব দ্যা গভর্নমেন্ট। বিএনপি এ দেশে প্রধান বিরোধী দল।   সংলাপের মাধ্যমে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা
ভোট দিতে পারিনি। এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংলাপের মাধ্যমে আবার নির্বাচন দরকার।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সংলাপের জন্য নির্বাচনের আগেও আমাদের নেত্রী ডাক দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে মাইনাস করে আবার সংলাপের কথা ভাবলে আবার একই সমস্যা হবে। সংলাপের জন্য দুপক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে।

দীর্ঘদিন আগে ঘোষনা দিয়েও সরকার চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেনি। এ ধরণের ঘোষণা দেয়ার যৌক্তিকতা কোথায়? এ প্রশ্নে  আরিফুর রহমান বলেন, সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে। তবে কাঠামোগত উন্নয়নের সাথে সাথে সামাজিক উন্নয়নও করতে হবে।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বাণিজ্যিক রাজধানী করার জন্য নেত্রীকে আহবান জানিয়েছিলাম। সেই সময় ঘোষনাও এসেছিল। অবকাঠামোগত বিনির্মানের প্রসঙ্গও এসেছিলো। আলোচনার পর আমরা আর ক্ষমতায় ছিলাম না। পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে আবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু শেষ হয়নি।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন,  টেকনিকালি চট্টগ্রামই বাণিজ্যিক রাজধানী। ঢাকা তো পলিটিকাল রাজধানী।

অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ এবং উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন।
 


প্রসঙ্গত: বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন এবং বিবিসি বাংলার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয় এতে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিষয়ে দর্শকরা সরাসরি প্যানেল সদস্যেদর কাছে প্রশ্ন বা মতামত প্রকাশ করতে পারেন।

‘বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ’ অনুষ্ঠানটি বিবিসি বাংলায় প্রচারিত হয় প্রতি রবিবার রাত ৮টায় এবং পুন:প্রচারিত হয় মঙ্গলবার রাত ৮টায়। এছাড়া চ্যানেল আইয়ে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয় সোমবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে এবং পুন:প্রচারিত হয় প্রতি মঙ্গলবার সকাল ৫টা এবং দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে।

  বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।