চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফেল করেছেন তারা তিনজন। যারা ছাত্রলীগের কর্মীও।
ফলে দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাসে অংশ নিতে পারেননি। এরই মধ্যে দ্বিতীয় বর্ষের মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন সহপাঠীরা।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী কোন ফেল করা ছাত্র পরের বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। আর তাই পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়নি।
তাতেই ক্ষেপেছে ছাত্রলীগ। পরীক্ষার দেয়ার অনুমতি না দেয়ায় পুরো বিভাগের শ্রেণী কক্ষে তালা দিয়েছে ছাত্রলীগ। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিভাগের সভাপতি ড. হারুনুর রশিদ বলেন,‘প্রথম বর্ষে ফেল করায় দ্বিতীয় বর্ষে যেতে অনুমতি চেয়েছে তিনজন ছাত্র। তবে তারা চারটি বিষয়ে ফেল করায় তাদের অনুমতি দেয়া যাচ্ছে না। ‘
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতারা তাদের অনুমতি দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই তিন ছাত্রের বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা নিয়ে অনুমতি দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিভাগের সভাপতি বলেন, এরই মধ্যে দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণদের মিডটার্ম পরীক্ষা ছিল শনিবার। ওই পরীক্ষায় অংশ নিতে চায় তারা। এজন্য ছাত্রলীগ নেতারা আবারো সুপারিশ করতে আসে।
‘বার বার বলার পরও তারা বুঝতে চাইছে না যে ফেল করা ছাত্রকে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার অনুমতি দেয়া সম্ভব নয়। তাদের কথা মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্পেশাল পরীক্ষা পরে দেবে। কিন্তু তা নিয়ম অনুযায়ী দেয়া অসম্ভব। ’
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষার অনুমতি না পেয়ে প্রথম বর্ষে ফেল করা রাজু মুন্সিসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী ক্লাসরুম থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে বিভাগের পাঁচটি শ্রেণী কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। যদিও দুটি কক্ষে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। ফলে এদিন বিভাগে কোন ক্লাসও হয়নি।
বিষয়টি উপাচার্য ও প্রক্টরকে জানালে তাদের পরামর্শে শনিবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয় জানিয়ে হারুনুর রশিদ বলেন, পরে উপাচার্য কার্যালয়ে দুপুর দেড়টায় ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরীফ। বৈঠকে উপাচার্য তাদের আইনি বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করলেও ছাত্রলীগ তা মানতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, রাজু মুন্সি নগরীর সিআরবিতে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামী। তিনি চবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক খালেদ বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার আমি বিশ্ববিদ্যায় যাইনি। ফলে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪