ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কঠোর নিরাপত্তায় আসা ব্যালট পেপার চট্টগ্রামে অরক্ষিত !

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৩
কঠোর নিরাপত্তায় আসা ব্যালট পেপার চট্টগ্রামে অরক্ষিত ! ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: কঠোর নিরাপত্তায় চট্টগ্রামে পৌঁছেছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার। একইসঙ্গে এসেছে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী সরঞ্জামও।



দেখা গেছে, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জামগুলো চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে নির্বাচন অফিসের অস্থায়ী কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। নাশকতা এড়িয়ে ব্যালট পেপারগুলো চট্টগ্রামে পৌঁছানো সম্ভব হলেও সেগুলো জিমনেশিয়ামে রাখা হয়েছে একেবারে অরক্ষিত অবস্থায়।
নাশকতা রোধে জিমনেশিয়ামে নিরাপত্তায় তেমন কোন কড়াকড়ি দেখা যায়নি।

জিমনেশিয়ামে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কার্টনভর্তি নির্বাচনী সরঞ্জামগুলো জিমনেশিয়ামে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে আছে, ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা, অমোচনীয় কালি, প্যাড, সিল এবং সচেতনতামূলক বিভিন্ন পোস্টার।

শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বস্তাভর্তি ব্যালট পেপারগুলো সেখানে নেয়া হয়। ঢাকায় নির্বাচন কমিশন থেকে বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের পাহাড়ায় ট্রাকে করে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ব্যালট পেপারগুলো জিমনেশিয়ামে নেয়া হয় বলে তারা জানান।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামের ৯টি আসনে যত ভোটার আছে সেই পরিমাণ ব্যালট পেপার আমরা পেয়েছি। নির্বাচনের আগের দিন সেগুলো উপজেলায় পাঠিয়ে দেয়া হবে।

নির্বাচনী কাজের জন্য গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে জিমনেশিয়ামকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়েছে জেলা নির্বাচন কার্যালয়। ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জিমনেশিয়াম তাদের দখলে থাকবে এবং সেখানে নির্বাচনের কন্ট্রোল রুম খোলা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জিমনেশিয়ামে কোন খেলাধূলা হবেনা বলে বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে।

জিমনেশিয়ামে গিয়ে দেখা গেছে, বস্তায় ভর্তি ব্যালট পেপারগুলো আলাদাভাবে আসন ভাগ করে রাখা হয়েছে। কার্টনভর্তি বইয়ের মধ্যে দেখা গেছে, প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের জন্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ম্যানুয়েল এবং পোলিং অফিসারদের জন্য নির্দেশিকা। এছাড়া কয়েক’শ পোস্টারের বান্ডিল এবং ছোট ছোট কার্টনভর্তি অমোচনীয় কালি, প্যাডসহ আরও বিভিন্ন সরঞ্জাম দেখা গেছে।

জিমনেশিয়ামের মূল ফটকের বাইরে মাত্র একজন কনস্টেবল আর দোতলায় একজন কনস্টেবলকে নিরাপত্তার দায়িত্বে দেখা গেছে। লোকজন ঢুকতে কঠোরভাবে বাধা দিতে দেখা যায়নি। অনেকেই জিমনেশিয়ামের ভেতরে খেলার অনুশীলন চলছে ভেবে ঢুকে পড়ছেন। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বের করে দিচ্ছে।

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আসাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, একজন এএসআই, আটজন কনস্টেবল এবং একজন নায়েকসহ মোট দশজন সদস্য জিমনেশিয়ামে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। দু’জন কনস্টেবলকে প্রতি শিফটে ফটকে পাহাড়ার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।

এএসআই আসাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, সাংবাদিক ছাড়া কাউকে আমরা ঢুকতে দিচ্ছিনা। তবে সকালে বেশ কয়েকটি উপজেলা থেকে এসে কর্মকর্তারা ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকা নিয়ে গেছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, আরও কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।

উল্লেখ্য চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে সাতটি আসনে একক প্রার্থী থাকায় সেখানে নির্বাচন হবেনা।

বাকি নয়টি আসনে নির্বাচন হবে। আসনগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড), চট্টগ্রাম-৯ (কোতয়ালী-বাকলিয়া), চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা), চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-পশ্চিম পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮,২০১৩
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।