ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

রামপালসহ ‘বিতর্কিত’ প্রকল্প স্থগিত চায় টিআইবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
রামপালসহ ‘বিতর্কিত’ প্রকল্প স্থগিত চায় টিআইবি

ঢাকা: আজারবাইজনের বাকুতে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির অধিবেশনের জন্য প্রস্তাবিত এজেন্ডায় সুন্দরবনকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্য’র তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
 

প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার আগেই অবিলম্বে সুন্দরবন ও এর আশপাশের সংরক্ষিত অঞ্চলে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ চলমান সব প্রকল্প স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটি।
 
সোমবার (১৭ জুন) এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ আহ্বান জানিয়েছেন।

 

তিনি বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৩তম অধিবেশনের প্রস্তাবিত এজেন্ডায় সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব প্রমাণ করে, রামপালসহ অন্যান্য প্রকল্পের কারণে সুন্দরবন ঝুঁকিতে আছে- আমাদের দীর্ঘদিনের এমন আশঙ্কা ও উদ্বেগ অমূলক ছিল না।  

‘আমরা মনে করি, কোনো ধরনের কৌশলগত ও পরিবেশগত সমীক্ষা ছাড়াই সুন্দরবনের সন্নিকটে এমন ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের সরকারি উদ্যোগে বৈশ্বিক ও স্থানীয় উদ্বেগ এবং পরামর্শ উপেক্ষা করায় আজ এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ’

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে আসন্ন বাকু সভার আগেই অনতিবিলম্বে রামপাল, তালতলী ও কলাপাড়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে। পাশাপাশি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নে আশু পদক্ষেপ নিতে হবে।
 
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১১ স্মরণ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষা ও সুরক্ষায় সরকারি প্রচেষ্টা শক্তিশালী করার কথা ছিল। কিন্তু পরিবেশগত সমীক্ষা ও যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা না নিয়েই সুন্দরবনকে ঝুঁকিতে রেখে রামপালসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সরকারের অঙ্গীকারের পরিপন্থী। ইউনেস্কোর এ প্রস্তাবের পর আর নির্বিকার থাকার সুযোগ নেই। অবিলম্বে সুন্দরবন সুরক্ষায় সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে।  
 
ইউনেস্কোর সুপারিশ আমলে নিয়ে অবিলম্বে তেল ছড়িয়ে পড়া ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা নিরসনে জাতীয় পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও জনবল নিয়োগ দিয়ে তা কার্যকর করার দাবি জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।  

তিনি বলেন, সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব বাতিলে স্বল্পমেয়াদি আশু পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি ২০২০ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য সংস্থার ৪৪তম অধিবেশনের আগেই তাদের প্রস্তাবিত প্রয়োজনীয় সমস্ত কার্যক্রম গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় সুন্দরবনের মত বৈশ্বিক সম্পদ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।