ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়েই চলছে পাখি বিক্রি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়েই চলছে পাখি বিক্রি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দাঁড়িয়ে পাখি বিক্রি করছেন এক শিকারি

হবিগঞ্জ: বছর তিনেক আগে হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে পাখি শিকার এবং বিক্রি চলতো প্রকাশ্যেই। সাম্প্রতিককালে প্রশাসনের নজরদারী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার ভয়ে একটু আড়ালে-আবডালে চলছিল পাখি বিক্রি। 

এবার পাখি বিক্রির নতুন কৌশল বেছে নিয়েছেন শিকারিরা। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শিকার করে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে পাখি বিক্রি করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নির্জন এলাকায় গাছের আড়ালে বসে থাকেন পাখি বিক্রেতারা। বাস. মাইক্রোবাস, কার ও জিপ গাড়িসহ বিভিন্ন ধরণের প্রাইভেট গাড়ি আসলেই সামনে হাত বাড়িয়ে একঝাঁক পাখি ধরে রাখেন তারা। চোখের সামনে পাখি দেখে লোভ সামলাতে না পেরে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন লোকজন। দুয়েক মিনিটের মধ্যেই চট করে কেনা-বেচা শেষে দু’পক্ষ চলে যাচ্ছেন দু’দিকে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতেই এই কৌশল অবলম্বন করছেন তারা।  

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের বালিধারা বাজার এলাকায় পাখি বিক্রি করতে আশা শুকুর আলী বাংলানিউজকে বলেন, আগে তারা পাখি শিকারের পর বাজারে নিয়ে বিক্রি করতেন। কিন্তু বর্তমানে বাজারে পাখি বিক্রি তাদের জন্য একটু ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, খবর পেলেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাস্তি দেওয়া হয়। মহাসড়কে পাখি বিক্রিতে লাভ বেশি। বিশেষ করে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে পর্যটকরা বেশি দামে তাদের কাছ থেকে পাখি কিনেন। অনেকে আবার শখের বসে দুই থেকে ৫০০ টাকা বকসিসও দিয়ে যান।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির পাখি শিকার করে বিক্রি করছেন। তবে শীতকাল আসলে বিদেশি পাখিও পাওয়া যায়। তখন তাদের আয়-রোজগার বেড়ে যায়।

বালিদ্বারা এলাকার কাজী মুছা বাংলানিউজকে জানান, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসব শিকারিরা রাতের বেলা পাখি শিকার করে দিনের বেলা বিক্রি করে। তারা মহাসড়কের এমন জায়গাকেই বেছে নেয়- যেখানে প্রশাসন ধাওয়া করলে দৌড়ে পালিয়ে যেতা পারে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এসব পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন অত্যন্ত সোচ্চার। মহাসড়কে পাখি বিক্রির বিষয়টি শুনেছি। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।