ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সিনেমার ‘কালনাগিনী’ আসলে র্নিবিষ সাপ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
সিনেমার ‘কালনাগিনী’ আসলে র্নিবিষ সাপ বিষমুক্ত সাপ ‘কালনাগিনী’। ছবি- বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: চলচ্চিত্রে অহরহ কালনাগিনী সাপকে বিষাক্ত সাপ হিসেবে উপস্থাপনা করা হলেও মূলত র্নিবিষ প্রজাতির সাপ এরা। এদের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয় না।

সোমবার (১৬ জুন) বিশ্ব সাপ দিবসে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি তুলে ধরেন প্রখ্যাত সরীসৃপ গবেষক এবং ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যলায়েন্স এর প্রধান নির্বাহী শাহরিয়ার সিজার রহমান।  

তিনি বলেন, আমাদের অনেক সিনেমা তৈরি হয়েছে কালনাগিনী সাপ কেন্দ্র করে।

কালনাগিনীর তীব্র বিষ ও মানুষের মৃত্যু নিয়ে নানান আজগুবি কল্প-কাহিনী সমাজে থাকলেও এরা আসলে নির্বিষ সাপ। এদের কামড়ে মানুষ মারা যাওয়াতো দূরের কথা, সামান্য ব্যথাও হয় না। প্রকৃতপক্ষে কালনাগিনী বলে যেসব সাপ দেখানো হয় সেগুলি কোনোটাই কালনাগিনী নয়।  

‘বাংলায় কালনাগিনী বললেও ইংরেজিতে এই সাপের নাম Golden tree snake বা Ornate flying snake এবং বৈজ্ঞানিক নাম Chrysopelea ornata। যার বাংলা উড়ন্ত সাপ। এদের নাম Flying snake হলেও এরা আসলে উড়তে পারে না। তবে এক গাছ থেকে লাফিয়ে বা গ্লাইডিং করে অন্যগাছে যেতে পারে।  

এরা বড় আকৃতির সাপ নয়, কিছুটা ছোট আকৃতির সাপ। টিকটিকি, ইঁদুর, গিরিগিটি এদের প্রধান খাবার ও পোকামাকড়ও খায়। মার্চ মাসে এরা ৬-১২ টি ডিম পাড়ে যা থেকে দুইমাস পর বাচ্চা ফোটে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এর উপস্থিতি রয়েছে বলে জানান শাহরিয়ার সিজার রহমান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।