ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

হৃদয় জুড়ায় আরডিএ’র ১০ হাজার গাছের বাগানে

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
হৃদয় জুড়ায় আরডিএ’র ১০ হাজার গাছের বাগানে আরডিএ’র রাস্তার দু’পাশে সারি সারি সবুজ গাছ। ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: রাস্তার দু’পাশে সারি সারি গাছ-গাছালি। মাঝে মাঝে বেড় দিয়ে অথবা প্রাচীরে ঘিরেও গড়ে তোলা হয়েছে রকমারি গাছের বাগান। উঁচু ভবনগুলোর ফাঁকা জায়গায়ও নানা ধরনের ছোট-বড় গাছপালা। থেকে থেকে সবুজ ঘাসের বিছানা আর রঙ-বেরঙের সব ফুল-ফলের গাছ।
 
 

চলতি পথে এমনই সবুজ প্রকৃতির চাদর নজর কাড়ে বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ)। শেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গাড়ীদহ ইউনিয়নে ঢাকা-বগুড়া মহাড়কের পশ্চিমপ্রান্তে বিশাল এলাকাজুড়ে এ প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।

গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০ হাজার গাছ। এরমধ্যে হাজারখানেক গাছের বয়স ২০-২৫ বছরের মতো। ১৯৭৪ সালে আরডিএ প্রতিষ্ঠা হলেও আট একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান আলো ছড়াতে থাকে ১৯৮০ সালের দিকে।
 
সুবিশাল এ নার্সারি দু’ভাগে বিভক্ত। একটি উদ্যান ও আরেকটি অর্নামেন্টাল নার্সারি। এতে রয়েছে ৫০ প্রজাতির বিভিন্ন জাতের দেশি-বিদেশি আম ও ৪০ প্রজাতির বিভিন্ন জাতের ফলদ চারা এবং কলম গাছ। আর এখানে কলমের ‘জার্মপ্লাজম সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রয়োগিক গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বাণিজ্যিক উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে চলছে কাজ।
 
আরডিএতে রয়েছে ১০ হাজারের মতো গাছগাছালি।  ছবি: আরিফ জাহান
অর্নামেন্টাল নার্সারির কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে শতাধিক প্রজাতির দেশি-বিদেশি শোভাবর্ধক ফুল ও ক্যাকটাস চারা কলমের মাধ্যমে। প্রত্যেক বছর এই নার্সারির সংগ্রহশালায় নতুন নতুন প্রজাতির চারা যুক্ত হচ্ছে।

সবুজে মোড়ানো পরিপাটি আরডিএ’র পাশে গেলে যে কেউ ভীষণভাবে বিমোহিত হবেন। সেজন্যই প্রতিদিন এখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দর্শনার্থী ছুটে আসেন। ছুটির দিনে সেই ভিড়টা খানিকটা বেড়ে যায়। এছাড়া ছোট-বড়-মাঝারি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান লেগেই থাকে আরডিএতে। প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা কার্যক্রমও চেল সমানতালে।
 
এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বিনোদন আর প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে এখানে এসেছেন নিয়াজ মোহাম্মদ ও নুসরাত জাহান দম্পতি।  
আরডিএতে রয়েছে ১০ হাজারের মতো গাছগাছালি।  ছবি: আরিফ জাহাননিয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, ‘সবুজের ছোঁয়ায় মনটা ভরে গেছে। এখানকার বাতাস যেন পরিশুদ্ধ। শোভা বর্ধনকারী গাছপালা ও বাহারি ফুলের মনমাতানো ঘ্রাণ মন জুড়িয়ে দিয়েছে। পরিবেশটাও ভীষণ মনোমুগ্ধকর। ‘

এ বিষয়ে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) পরিচালক কৃষি বিজ্ঞানী ড. একেএম জাকারিয়া বাংলানিউজকে জানান, প্রয়োগিক গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বাণিজ্যিক উৎপাদনের লক্ষ্য সামনে রেখে এখানে সব প্রজাতির একটি করে হলেও গাছ রাখতে চেষ্টা থাকে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বিশাল সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন প্রজন্মকে বিলুপ্তপ্রায় গাছের সঙ্গে পরিচিত করে দেওয়াটা অন্যতম লক্ষ্য এ প্রতিষ্ঠানের।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
এমবিএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad