ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

জাবিতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি

জাবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৩
জাবিতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি

জাবি: ‘প্রকৃতি সংরক্ষণ উদ্যোগ’র আয়োজনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৃক্ষরোপন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম ছায়ামঞ্চ এলাকায় এ কর্মস‍ূচির উদ্বোধন করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন।



এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান সুমন, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, সংগঠনের সভাপতি নওরিন রিমা, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুর রহমানসহ অন্যান্যরা।

মনোয়ার হোসেন বলেন, “বিপন্ন ও বিরল প্রজাতির দেশিয় বৃক্ষ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই, ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় দেশিয় ও বিপন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ”

গোলাম রব্বানী বলেন, “দেশের মানুষকে না জানিয়ে গত তিন মাস ধরে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। সুন্দরবন ধ্বংস করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চক্রান্ত আমাদের প্রতিহত করতে হবে। ”

বৃক্ষরোপন কর্মস‍ূচিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে অনেক বৃক্ষরোপন করা হয়। কিন্তু, যথাযথ পরিচর্যার ফলে সে বৃক্ষগুলো বড় হয়ে উঠতে পারে না। এই রোপন করা বৃক্ষগুলো যেন যথাযথ পরিচর্যার অভাবে মরে না যায় ‘প্রকৃতি সংরক্ষণ উদ্যোগ’ সংগঠনের সদস্যদের সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ”

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুর রহমান বলেন, “একাশিয়া, ইউক্যালিপ্টাস ইত্যাদি বিদেশি ও ক্ষতিকর গাছের ভিড়ে আমাদের দেশিয় প্রজাতি গাছগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই, এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচির আওতায় দেশিয় বিলুপ্ত প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করা হচ্ছে। ”

বিগত সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কেটে ফেলার কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়েছে। জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতি হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। তাই, ক্যাম্পাসের জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে আয়োজকরা জানান।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বট, নিম, মান্দার, দেশিগাব, লটকন, জগডুমুর, আতা, শরীফা, পিপুলটি, খুদিজাম, বহেরা, অর্জুন. শেওড়া, হরীতকী, মহুয়া, হিজল, অরবড়ই, জামরুল, কাউ, কদম, কৃষ্ণচূড়া, জারুল, খেঁজুর, তালসহ বিপন্ন ও বিরল প্রজাতির এক হাজার বৃক্ষ রোপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশে কৃষ্ণচূড়ার বাগান করার পরিকল্পনা করছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৩
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।