ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয় .

বার্মিংহাম থেকে: ‘চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয়। চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী’। রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর এই লাইনটিই বার বার মনে হচ্ছিলো ম্যাচের শেষে।

কোহলি-রোহিতের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমি ফাইনলে ভারতের কাছে ৯ উইকেটের বড় হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ। শেষ হল টাইগারদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মিশন।

 
 
তবে টাইগারদের বিদায়টি এই টুর্নামেন্টের এই আসর থেকে হলেও গ্রুপ পর্বের শুরু থেকে স্বপ্নের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যে দাপট তাঁরা ব্যাটে-বলে দেখিয়েছেন, তাতে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে আইসিসি’র এমন মর্যাদার আসরে বার বার আসার সামর্থ তারা রাখে।
 
আগামীর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কিংবা বিশ্বকাপে আবার দাপুটে মেজাজে টাইগাররা মাঠে নামবেন তারই পূর্বাভাস মিললো এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকেই।  

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এজব্যাস্টনের রান প্রসবা এই উইকেটে টাইগারদের ২৬৪ রানের সংগ্রহটা ফর্মে থাকা ভারতের কাছে মামুলি ছিল বলেই হয়তো ভারত শুরু থেকে দাপট দেখিয়েছে। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সামনে ভারতসহ সব দলের সমীহও আমরা দেখেছি।  
 
লাল-সবুজের বিপক্ষে ভারত কাপ্তান কোহলি ব্যক্তিগত অপরাজিত ৯০ রানের ইনিংস খেললেন আর ইনিংসের একেবারে শুরুতে নামা রোহিত শর্মা অপরাজিত ছিলেন ১২৩ রানে।
 
বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়ে এজব্যাস্টনের মৌন গ্যালারিতে কিছুক্ষণের জন্য উল্লাস ফিরিয়েছিলেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর কোন টাইগার বোলারকেই বল হাতে একটি উইকেটও নিতে দেখা গেল না। কোহলি, শর্মার ব্যাটের সামনে সবাইকে কেমন অসহায় দেখালো।
 
ম্যাচের ৪১তম ওভারে সাব্বির রহমানের প্রথম বলটিকে দারুণ এক ড্রাইভে সীমানার বাইরে ঠেলে দিয়েই শূণ্যে লাফিয়ে উঠলেন কোহলি। অমনি গ্যালারি থেকে মন ভারী করে একে একে বিদায় নিতে শুরু করলো সমর্থকেরা।
 
বিদায় বেলায় সবারই এক কথা, ‘দলীয় রান ৩০০ হলেই ফাইট হতো। আর ৩২০-৩৩০ হলে দল হারাতো না। মুশফিক-তামিম যাও খেললো, সৌম্য, সাব্বির, মোসাদ্দেকো দলের দায়িত্ব নিতে পারতো। সাকিব, রিয়াদই প্রতিদিনই ভাল খেলবে? আমাদের বোলিং খুবই বাজে হয়েছে আজ। ’
 
তার পরেও ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা দেখেছি। ভীড়ের ভেতর একজন বললেন, ‘ভারতের কাছে আমরা হেরে গেছি এটা কোন বিষয় না। আমরা যে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছি এটাই বড়। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও ভাল খেলবে। এমন সেমি ফাইনাল একদিন আমরা জিতবো। সেই দিন আর দুরে নয়। ’
 
টাইগারদের হারের পরেও এমন আশা নিয়েই এজব্যাস্টন ছেঁড়ে গেলেন ইংল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে থেকে আসা টাইগার সমর্থকেরা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বপ্নের সেমি ফাইনাল পৌছার স্বাদটুকু কম নয়। মনে হলো এই চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়। আবার কখনো যদি এই এজব্যাস্টনে আসেন টাইগাররা খেলতে এই মানুষগুলো ফিরে ফিরে আসবেন।           
   
স্থানীয় সময়: ২৩১৭ ঘণ্টা, ১৫ জুন ২০১৭
এইচএল/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্রিকেট এর সর্বশেষ