ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বইমেলা

একুশে বইমেলা: আগ্রহ বাড়ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইয়ে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
একুশে বইমেলা: আগ্রহ বাড়ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইয়ে

বইমেলা থেকে: বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় অহংকার- মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ইতিহাস উপজীব্য করে প্রতি বছরই প্রকাশিত হয় অনেক অনেক বই। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১১৯টি নতুন বই জমা পড়েছে বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্রে।  

লেখক-গবেষকরা নানা মাত্রায় মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্লেষণ করে লিখছেন এসব বই।

কথাশিল্পীরা গল্প-উপন্যাসে রূপায়ণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্তর। কবিদের কবিতাতেও আপন বিভায় উঠে আসছে মুক্তিযুদ্ধ। এর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের স্মৃতিচারণারও নানান বই প্রকাশ পাচ্ছে।  

মেলার লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবার ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কারণেই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রকাশনার সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর ১১৯টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই এলেও আগের বছর এ ধরনের প্রকাশনার সংখ্যা ছিল ১০৪টি। ২০১৮ সালে ৯১, ২০১৭ সালে ৯৭, ২০১৬ সালে ১০১ ও ২০১৫ সালে ৫৩টি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক নতুন বই প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রকাশকরা জানান, এবার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ওপরে বই প্রকাশ করার ব্যাপারে বাড়তি নজর দিয়েছেন তারা। তাই বলে থেমে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইয়ের প্রকাশনা। আগামী বছর মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রকাশনার ব্যাপারে বিশেষ মাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

মেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এবারে এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ২৬টি বই প্রকাশ করছে আগামী প্রকাশনী। এর মধ্যে রয়েছে পান্না কায়সারের ‘একাত্তরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ সমগ্র’, লে. ক. জালাল উদ্দিন বীর-উত্তমের (অব.) ‘মুক্তিযুদ্ধে নৌ সেনানী’, হাসনাত আবদুল হাইয়ের ‘মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস সমগ্র’, ইশতিয়াক আলমের ‘যুদ্ধদিনের কষ্টগুলো’ ইত্যাদি।

এ বছর মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনীর বইগুলোর মধ্যে আরও আছে- মতিউর রহমান সম্পাদিত ‘১৯৭১ : শত্রু ও মিত্রের কলমে’ এবং ‘বিজয়ের মুহূর্ত ১৯৭১’ (প্রথমা), আফসান চৌধুরীর ‘১৯৭১ : গণনির্যাতন গণহত্যা কাঠামো, বিবরণ ও পরিসর’ ও ‘১৯৭১ : অসহযোগ আন্দোলন ও প্রতিরোধ’, এনামুল হকের ‘একাত্তরের গণহত্যা : বৃহত্তর রাজশাহী জেলা’, শফিউদ্দিন তালুকদারের ‘একাত্তরের বয়ান-পঞ্চম খণ্ড’, সালেক খোকনের ‘১৯৭১ : রক্ত, মাটি ও বীরের গদ্য’ (কথা প্রকাশ), মুনতাসীর মামুনের ‘বাংলাদেশ ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতনের রাজনীতি’ (কথা প্রকাশ), ‘মুক্তিযুদ্ধের সাংস্কৃতিক প্রণোদনা’ (প্রথমা), ‘বাংলাদেশ ১৯৭১ : মুক্তিযুদ্ধের শত্রুপক্ষ’ (সুবর্ণ) ও ‘৬ দফা : স্বাধীনতার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু’ (মাওলা ব্রার্দাস), বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র : একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড (মাওলা ব্রার্দাস), আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ‘নিরুদ্দিষ্ট নয় মাস’ (সুবর্ণ), ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের ‘মুক্তিযুদ্ধ’ (কাগজ প্রকাশন), আল-আজাদের ‘মুক্তিযুদ্ধে সিলেট’ (নাগরী প্রকাশনী), তাজুল মোহাম্মদের ‘রাজাকারের কর্মকাণ্ড’, সৈয়দ মনোয়ার আলীর ‘১৯৭১ : অবরুদ্ধ দেশে রুদ্ধশ্বাস জীবন’ ও আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ‘মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস’ (সাহিত্য প্রকাশ), সেলিনা হোসেনের ‘কিশোর উপযোগী মুক্তিযুদ্ধসমগ্র’ ও কাইজার চৌধুরীর ‘কিশোর উপযোগী মুক্তিযুদ্ধসমগ্র’ (সময় প্রকাশন), তোফায়েল আহমেদের ‘রক্তঝরা মার্চ ১৯৭১ : অসহযোগ আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা’ (জার্নিম্যান বুকস), ড. নূরুন নবীর ‘বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের যুদ্ধাপরাধ ও প্রেসিডেন্ট নিক্সন-ড. কিসিঞ্জারের দায়’, মোহাম্মদ এজাজ হোসেনের ‘একাত্তর ও আমার শৈশব’, দীপু মাহমুদের ‘১৯৭১ : দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গন’, সাইদ হাসান দারার ‘১৯৭১ ডকুমেন্টস’ ও হামিদুর রহমান তারেকের ‘জনযুদ্ধ ১৯৭১’ (অনন্যা), নুরুল ইসলাম খানের ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং আমি’ (সময় প্রকাশন) ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
ডিএন/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।