ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

‘সাহিত্যচর্চা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে শেখায়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
‘সাহিত্যচর্চা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে শেখায়’ বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: সাহিত্যচর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাহিত্যচর্চা ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে লড়তে শেখায়। 

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।  

‘বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনে বাঙালি হ’- গুরুসদয় দত্তের এই অমিয় বাণীকে ধারণ করে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শনিবার থেকে বসেছে তিন দিনব্যাপী সাহিত্য সম্মেলন।

এতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের তিন শতাধিক কবি-লেখক-সাহিত্যিক-সমালোচক অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাহিত্যচর্চা মানুষের মধ্যে শুভবোধের বিকাশ ঘটায়। মানুষের অমিত সম্ভাবনার দ্বারকে উন্মোচিত করে।  

তিনি বলেন, সভ্যতা বিকশিত হয়েছে মানুষের সৃজনশক্তিতে। আর এই সৃজনশীলতার বাহন হচ্ছে ভাষা। আর তাই সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশে সাহিত্যের ভূমিকা অপরিসীম।

‘যে সমাজের সাহিত্য যত ঋদ্ধ, সেই সমাজ তত বেশি সভ্য। ’

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বাংলা সাহিত্যের ভিত্তিও অনেক সুদৃঢ়। আর সে কারণেই বাংলা ভাষা আজ বিশ্বের অন্যতম মর্যাদার আসনে আসীন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হতে হবে। যুক্তিকে আরও শাণিত করতে হবে। মানবিক বোধকে উচ্চকিত করতে হবে। আর এজন্য সাহিত্যচর্চার কোনো বিকল্প নেই। কেননা, সাহিত্য মানুষকে যুক্তিবাদী ও সংবেদনশীল করে তোলে। বহুমাত্রিক সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে।

বাংলা সাহিত্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত সব বাঙালির মনে রাখতে হবে যে, আমাদের শেকড় হচ্ছে বাংলা। আমরা বাঙালি এটি ভুলে গেলে চলবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক পরিসরে টিকে থাকতে হলে আমাদের বাঙালিত্ব নিয়েই লড়াই করতে হবে। কারণ বাঙালি মানে দুরন্ত সাহস; বাঙালি মানে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা; বাঙালি মানে অজেয়কে জয় করার অদম্য ইচ্ছা।  

সাহিত্য সম্মেলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশা করি এই আয়োজন একদিকে নতুন সম্ভাবনাকে উন্মোচিত করবে, নিজেদের সামর্থ্যকে তুলে ধরবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আর্ন্তজাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলন আয়োজক পরিষদের আহ্বায়ক ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দিন ইউসুফ।

বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন, নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত ঘোষ ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি সত্যম রায় চৌধুরী।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৭
এমইউএম/এইচএ/

** কেবল বাংলা ভাষা নয়, বর্ণও মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।