ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

সমসাময়িকতায় শিল্পী রাশেদ পর্ষদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
সমসাময়িকতায় শিল্পী রাশেদ পর্ষদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী রোহিঙ্গা নারী ধর্ষণ নিয়ে শিল্পী মাহবুবুর রহমানের অ্যাক্রেলিক/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ছাড়াও নানান প্রতিবন্ধকতার বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে আমাদের প্রাত্যহিক যাত্রা। এ বেষ্টনী ভেঙে যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা, সেটাও প্রাপ্তির শেষ মাইলফলক কিনা তা অনিশ্চিত। নিয়ত পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে নিয়ম-কানুনের অন্তহীন নবরূপায়ন। আর নবরূপায়নের সেসব চিত্রই যেন স্থান পেয়েছে শিল্পী রাশেদ স্মৃতি পর্ষদের ১২তম শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতায়।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনের ৩ নম্বর গ্যালারিতে চলছে এ প্রতিযোগিতা। সারা দেশের বাছাই শিল্পকর্ম থেকে শতাধিক শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে।

চলবে ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত।

প্রদর্শনী সম্পর্কে কথা হয় আয়োজক কমিটির সদস্য কাজী আসেফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শিল্পী রাশেদ ছিলেন আমাদের খুব কাছের বন্ধু। তার ভাবনার জগতটা সবার খেকে আলাদা ছিল। সে ভাবতো কীভাবে শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যায়। এরপর খুব অল্প বয়সেই তার মৃত্যু হলে আমরা বন্ধুরা মিলে এ আয়োজন করি। যা নতুন শিল্পীদের প্রকাশের অন্যতম একটি স্থান।

রাশেদ পর্যদের প্রদর্শনীঅ্যাক্রেলিক, মিক্সড, জলরং, বুননসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তৈরি শিল্পকর্মগুলো কথা বলে জীবনের, কথা বলে অতীত, ভালোবাসা, শহর, প্রকৃতি, সময় ও অপেক্ষা নিয়ে। আরো আছে শিল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য সমসাময়িকতা। শিল্পী মাহবুবুর রহমানের অ্যাক্রেলিক যেন তারই বড় প্রমাণ।

বর্তমান সময়ে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ বন্ধের দাবি নিয়ে আঁকা তার ছবিটি নিয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শিল্পের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমসাময়িকতা। আর বর্তমান সময়ে রোহিঙ্গা ইস্যুটাই সবচেয়ে বড়। সেখানে বড় সমস্য হলো রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণের ব্যাপারটি। চিত্রের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোটাই আমার কাছে বড় বলে মনে হয়েছে।

প্রেম আর নারীর পাশাপাশি শিল্পকর্মে বাদ পড়েনি জীববৈচিত্র্য। রং-তুলিতে আবদ্ধ হয়েছে সুন্দর হরিণ, গরু আর পাখির অবয়বও। বন জঙ্গল নিধন করার ফলে পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। তাই অনিশ্চয়তার পথে যাত্রা শুরু করেছে জঙ্গলের প্রাণী। সেগুলোকেও তুলে ধরা হয়েছে আয়োজনের।

রাশেদ পর্ষদের প্রদর্শনীএ বিষয়ে শিল্পী এমআই মিঠু বলেন, শিল্পগুলো শুধু শিল্পকর্ম নয়, তা গণসচেতনতার মাধ্যমও বটে। তাইতো আমাদের লক্ষ্য শিল্পের সুরে ঘুমন্ত মানুষ জেগে উঠুক। জেগে উঠুক মানুষের মনুষ্যত্ববোধ। স্বস্তির নিশ্বাসে বেঁচে থাকুক আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত। জাতীয় চিত্রশালায় প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।