ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

ফাগুন বরণের অপেক্ষায়

সালাম ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১১
ফাগুন বরণের অপেক্ষায়

ঢাকা: ব্যাপক দর্শকাগমনে প্রবেশপথে শুক্রবারের ‘তিন সারি’র কিছুই দেখা গেল না শনিবার। মেলার দ্বাদশ দিন ছিল এদিন।

শুক্রবারের মতোই সকাল ১১টা থেকে উন্মুক্ত ছিল শনিবার। কিন্তু শুক্রবারের মতো তিন সারি তো দূরে থাক, কোনও সারিতেই দাঁড়াতে হলো না আগতদের।

নিরাপত্তার জন্য প্রতি শুক্রবার ও শনিবার দু’টি প্রবেশ পথে মোট চারটি আর্চওয়ে বসানো হলেও শনিবার কানটিই খুব একটা ব্যস্ত ছিল না। আর তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন কিছুটা নির্ভার।

মেলায় সমাগম যে খুব একটা কম ছিল, তা কিন্তু নয়। বরং এটাকেই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন ক্রেতা-দর্শক ও লেখক-প্রকাশকরা।

তাদের অনেকেই বললেন, রোববার পহেলা ফাল্গুন। আর নানা সাজে, নানা রঙে এ দিনটি উদযাপন করতে এ বইমেলাকেই বেছে নেন অনেকে। আবার পর দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রতি বছরই এ দু’দিন বইমেলায় ঢল নামে তরুণ-তরুণীদের। প্রথমদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চারুকলা ইনস্টিটিউট এলাকায় ঘুরতে এসে বইমেলায় ঢুঁ মারেন তারা। আর ভালোবাসা দিবস উদ্‌যাপন করেন একে অপরকে বই উপহার দেওয়ার মধ্যদিয়ে। তাই হয়তো শনিবার ভিড় ছিল কম।

প্রতিবারের মতো এবারও এ দু’দিন প্রচুর সমাগম হবে জানিয়ে অনেক বেশি বিক্রির আশাও ব্যক্ত করেন কয়েকজন প্রকাশক।

শিশু-কিশোরদের প্রতিযোগিতা
শনিবার সকাল নয়টা থেকে মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোরদের সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ৯৫ জন এবং উপস্থিত বক্তৃতা বিষয়ে ৩০ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। প্রাথমিক বাছাই পর্বের ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। প্রাথমিক পর্বে অংশ নেওয়া সকল প্রতিযোগীকে স্মারক উপহার হিসেবে বাংলা একাডেমী প্রকাশিত গ্রন্থ দেওয়া হয়।

এ নিয়ে অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমী আয়োজিত শিশু-কিশোরদের সব প্রতিযোগিতারই প্রাথমিক পর্ব শেষ হলো।

নতুন বই
শুক্রবার রেকর্ডসংখ্যক ২৩৯টি বই আসার পর শনিবার এ সংখ্যা নেমেছে প্রায় অর্ধেকে। এদিন আসা নতুন বইয়ের সংখ্যা ১২৫। এ নিয়ে এবারের মেলায় আসা মোট বইয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ১৯৬-তে। এদিন মোট ১৯টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

‘ছিন্নপত্রে’ নদী ও মানুষ
মেলার মূলমঞ্চে বিকালে অনুষ্ঠিত হয় ছিন্নপত্রে নদী ও মানুষ শীর্ষক আলোচনা। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলা একাডেমীর কর্মকর্তা সাহেদ মন্তাজ। গবেষক ও ভাষাসৈনিক ড. আহমদ রফিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর।

রোববার একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে রবীন্দ্রনাথ ও বাউল সংস্কৃতি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

আবৃত্তি, গান আর নাটকে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
শনিবার সন্ধ্যায় মেলার মূলমঞ্চে আবৃত্তি আর গান ও নাটকের সমন্বিত পরিবেশনা গীতিনাট্য উপভোগ করেন মেলায় আসা দর্শক-ক্রেতারা। অনুষ্ঠানে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে ‘প্রকাশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন’। গীতিনাটক ‘শ্যামা’ পরিবেশন করে বুলবুল ললিতকলা একাডেমী।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।