মাওলা ব্রাদার্সের প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক বললেন প্রকাশনাশিল্প, একুশে বইমেলা, গত বছর ও এবারের বই সম্পর্কে।
আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের প্রকাশনাশিল্প পুরোপুরি এগিয়েছে বেসরকারিভাবে।
একুশ আমাদের চেতনার সাথে মিশে আছে। প্রতি বছর মেলায় ৩ হাজারের বেশি বই প্রকাশিত হয়। প্রতি বছরই আমাদের প্রকাশক বাড়ছে, বই বাড়ছে কিন্তু বইমেলার জায়গা তো বাড়ছে না। আমরা ভেবেছিলাম এ বছর মেলাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারিত হবে, কিন্তু তা হয়নি। আমাদের আগে স্টলের জায়গা ছিল ২৪ ফিট, এখন তা কমে হয়েছে ১৮ ফিট।
প্রতি বছরই আমরা বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, মুক্তিযুদ্ধ, অনুবাদ বা শিশুতোষ বই করি। ২০১০ সালে আমাদের করা উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে মুনতাসীর মামুনের ‘দেয়ালের শহর ঢাকা’, ‘সেলিম আল দীন রচনা সমগ্রÑ৫’, সেলিম আল দীনের ‘দিনলিপি (১৯৭১-১৯৯০)’ প্রথম ও দ্বিতীয় খ-, শহীদুল জহিরের উপন্যাস ‘আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু’, শাহাদুজ্জামানের ‘ক্রাচের কর্নেল’সহ আরও অনেক বই।
এবারও ওইরকমই নানা ধরনের বই করছি। আমরা এবার মেলায় প্রায় ৬৫-৭০টির মতো বই প্রকাশ করব। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হমায়ূন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস সমগ্র, সেলিম আল দীনের রচনাসমগ্রÑ৬, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবন্ধের বই ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’, হাসান আজিজুল হকের ‘গল্প সমগ্র প্রথম ও দ্বিতীয় খ-’ এবং ‘দেশভাগের গল্প’ ও ‘শত্রু’ নামের গল্প সংকলন; হাসনাত আবদুল হাইর উপন্যাস সমগ্র, মুনতাসীর মামুনের ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের চালচিত্র, দাউদ হায়দারের প্রবাস জীবনের বিভিন্ন লেখকদের সাথে আড্ডা নিয়ে বই ‘আড্ডা’, শাহাদুজ্জামানের ‘চিরকুট’, আবদুশ শাকুরের ‘ভালোবাসা’, কামাল রাহমানের উপন্যাস ‘তাজতন্দুরি’, হরিশংকর জলদাসের ‘জলদাসীর গল্প’, হারুকি মুরাকামির শ্রেষ্ঠ গল্পের অনুবাদ সংকলন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৫০, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১১