ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

৯৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ

মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র সচল করার দাবি

জহুরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১০
মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র সচল করার দাবি

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার এক নিভৃত পল্লী নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রাম। কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু’র রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের সমাধিস্থলকে ঘিরে এ গ্রামটি এখন অনেকেরই চেনা।



১৯ ডিসেম্বর ছিল এ অমর সাহিত্যিকের ৯৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তার সমাধিতে জড়ো হওয়া ভক্ত-অনুরাগীরা তার স্মৃতি রার্থে সরকারিভাবে নির্মিত স্মৃতিকেন্দ্রটি সচল করার দাবি জানিয়েছেন।

পাশাপাশি বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর আয়োজন করা হয় দু দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ।

আলোচনা সভায় উঠে আসে সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের সাহিত্য কর্মের নানান দিক। মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়ার মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করলেও তার জীবনের প্রায় পুরো সময় অতিবাহিত হয়েছে পৈতৃক নিবাস রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে। এখানেই মীর মশাররফ হোসেন তার জীবনের উল্লেখযোগ্য কাব্য, উপাখ্যান, উপন্যাস, নাটক, আত্মজীবনী, অনুবাদ ও প্রবন্ধ রচনা করেন। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পদমদীতে মৃত্যুবরণের পর এখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।

বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এখানে নির্মিত হয়েছে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র। ২০০১ সালের ১৯ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে ২০০৫ সালের ২০ এপ্রিল সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কিন্তু উন্নয়নকাজ আর এগোয়নি। বাংলা একাডেমী এ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানের জন্য একজন সহকারী পরিচালকসহ ৫ জন কর্মচারী নিয়োগ করলেও তাদের অনেকেই কেন্দ্রে আসেন না। মাত্র একজন অফিস সহকারী ও একজন পিয়ন কোনওরকমে এখানকার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন। আগে কেন্দ্রের গ্রন্থাগার সচল রাখতে দুটি দৈনিক পত্রিকা বরাদ্দ থাকলেও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে। স্মৃতিকেন্দ্র সংরণেরও তেমন ব্যবস্থা নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা জানান, বেশির ভাগ সময়ই কেন্দ্রের মূল ভবনের প্রবেশ গেট তালাবদ্ধ থাকে। বাংলা একাডেমীর অনুমতি ছাড়া দর্শনার্থীদের প্রবেশ করারও সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ সময় ১৯৩৫, ডিসেম্বর ২০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।