ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

মাদকমুক্ত বরিশাল গড়ার অঙ্গীকার করলেন ৬ মেয়র প্রার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
মাদকমুক্ত বরিশাল গড়ার অঙ্গীকার করলেন ৬ মেয়র প্রার্থী মাদকমুক্ত বরিশাল গড়ার অঙ্গীকার করলেন ৬ মেয়র প্রার্থী। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: সন্ত্রাস- মাদকমুক্ত আধুনিক নগর গড়ার অঙ্গীকার করলেন বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ছয় মেয়র প্রার্থী।

একইসঙ্গে তারা নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সব ধরনের সহায়তা ও নির্বাচিত হলে বিসিসিকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে লিখিত প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করেন।

সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক বরিশাল জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে শুক্রবার (১৩ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে নগরের অশ্বিনী কুমার হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সুজন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম গণরায় মেনে নেওয়ার জন্য প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি যারা নির্বাচিত হবেন তাদের করপোরেশনে নামে-বেনামে কোনো ঠিকাদারি না করার জন্যও আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের কমিটমেন্ট করতে আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো

ও জনগণের ভোট যারা দখল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আজ দলীয় নির্বাচনের কারণে দলীয়করণ হয়ে গেছে।

বিগত সময়ে মেয়র থাকাকালীন বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মেয়র হলে নগর উন্নয়নে পরিকল্পনা করে জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবো। বরিশালকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সুন্দর নগরী করার আকাঙ্খা রয়েছে আমার।

বাসদের মেয়র প্রার্থী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, নির্বাচিত হলে নগর কাউন্সিলের মাধ্যমে জনগণের মতামত নিয়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে। আমি এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রথম নারী প্রার্থী। বিগত ১৫ বছরে কোনো মেয়রই নারীবান্ধব কর্মসূচি হাতে নেয়নি। নারীবান্ধব কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি সমাজকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে পাড়ায় পাড়ায় পাঠশালা তৈরি, রচনা প্রতিযোগিতা, গণিত উৎসবসহ সাংস্কৃতিক চর্চার ওপর জোর দেওয়া হবে।

হাইকোর্টে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বশির আহমেদ ঝুনু বলেন, বিগত সময়ে মেয়রের পদে থেকে কে কি করেছেন তা সবাই জানে। ভোটররা যদি নির্বাচিত করে তবে বরিশালের উন্নয়নে, মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।

সিপিবির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে বিসিসিকে দৃষ্টিনন্দন একটি নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসন, সড়ক উন্নয়নসহ নাগরিক সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে। নগরের বস্তি এলাকার মানুষদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জাতীয়পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন (তাপস) বলেন, জনগণের উন্নয়ন আর প্রতিশ্রুতির ফুল ঝুঁড়ি দিতে চাই না। জনগণ সবার ওপরে। নির্বাচিত হলে নগরভবনে নগরপিতা হিসেবে নয়, সেবকভবনে নগরের সেবক হিসেবে বসতে চাই।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী ওবাইদুর রহমান (মাহবুব) বলেন, সিটি করপোরেশনকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করার জন্য দুর্নীতি মুক্ত করা হবে। এ সময় তিনি সৎলোককে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ভোটররা দেখে-শুনে যাচাই-বাছাই করে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার শপথ নেন। পরে শেষভাগে মেয়র প্রার্থীরা ভোটারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সুজন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সঞ্চালনায় সুজন বরিশাল মহানগর কমিটির সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছয় মেয়র প্রার্থী ছাড়াও সুজন বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলমসহ ভোটার ও বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরিনয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ  উপস্থিত ছিলেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।