ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

এবার ‘রিকশা’য় নির্বাচন কমিশন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
এবার ‘রিকশা’য় নির্বাচন কমিশন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে এবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের (রিকশা প্রতীক) সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ইসি সভাকক্ষে বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
 
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের (রিকশা) সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

আর বিকেল ৩টায় ইসলামী ঐক্যজোটের (মিনার) সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু দলটির প্রেসিডেন্ট ‍অসুস্থ বিধায় তারা এখন সংলাপে আসতে পারছে বলে জানিয়েছে। এছাড়া পরবর্তীতে সময় চেয়েও আবেদন জানিয়েছে তারা।
 
এ পর্যন্ত ৭টি দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) বন্যায় ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির জন্য নির্ধারিত সময়ে সংলাপে অংশ নেয়নি। এ দলটিও পরবর্তী সময় দেওয়ার জন্য ইসিতে আবেদন জানিয়েছে।
 
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) এবং বিকেল ৩টায় ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) এর সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন।
 
এছাড়া ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন (চাবি), বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিকে (কাঁঠাল) ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী), বিকেল ৩টায় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপিকে (বাঘ) সময় দিয়েছে সংস্থাটি।  

২০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় গণফ্রন্ট (মাছ), বিকেল ৩টায় গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য) এবং ২১ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেজুর গাছ) এবং বিকেল ৩টায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টিকে- এনপিপিকে (আম) ডেকেছে সংস্থাটি।
 
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে ছয়টি দলের সঙ্গেও সংলাপ শেষ করেছে কমিশন।
 
সংলাপে এ পর্যন্ত কয়েক ডজন সুপারিশ এসেছে। সেনা মোতায়েন, না ভোটের প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটাধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখান বিধান তুলে নেওয়া ইত্যাদি সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।